What Is VFX, CGI And, SFX?

What Is VFX, CGI And, SFX?


কল্পনা করুন, আপনার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে বিশাল আকারের ড্রাগন অথবা আপনার পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছেন আইরান ম্যান! এবার কল্পনা থেকে বের হওয়া যাক, কেননা বাস্তব জীবনে এসব সম্ভব না! তবে পর্দার জগতে কিন্তু এই সব কিছুই সম্ভব! চলুন জানা-যাক,  সিনেমাতে আমাদের কল্পনাকে হার মানানো অসাধারণ  দৃশ্য গুলো কিভাবে তৈরি করা হয়?

CGI, VFX এবং SFX! মূলত এগুলোর ব্যবহারের মাধ্যমেই তৈরি করা হয় কল্পনাকে হার মানানোর দৃশ্য গুলো। কিন্তু কি এই CGI, VFX এবং SFX? এদের মধ্যে সম্পর্ক বা পার্থক্যটাই বা কি? কিংবা কেনো এদের ব্যবহার করা হয়? চলুন এই সকল প্রশ্নের উত্তর খোজা যাক!

CGI: 

'CGI' যার পূর্ণরূপ " Computer Generated Imagery" কম্পিউটার গ্রাফিক্স ব্যবহার করে কাল্পনিক দৃশ্য গুলো বাস্তব সম্মতো করে তোলার ব্যাপারটাকে CGI বলা হয়! আরেকটু সহজ করে বললে, যখন স্ক্রিপ্টে এমন কিছু লিখা থাকে যা সরাসরি বাস্তবায়ন করা ঝুঁকি পূর্ণ,  অথবা যার কোনো অস্তিত্য নেই, তখন এইরূপ দৃশ্য গুলো কম্পিউটার ব্যবহার করে তৈরি করা হয়, আর এই প্রক্রিয়াটির নাম করন করা হয়েছে CGI । 

'দ্য লর্ড অফ টা রিংস', 'অ্যাভাটার', 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড' " এর  মতো জনপ্রিয় মুভি গুললতে CGI এর সর্বোত্তম ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ২০১৩ সালে Iron Man 3 মুভিটি মুক্তি পায়,যা মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের সপ্তম চলচ্চিত্র। মুভিটির একদম শেষ দৃশ্যে দেখানো হয়, আয়রন ম্যান খ্যাত " Robert Downey Jr." তার আর্ক রিয়েক্টরটি ছুড়ে ফেলেন। কিন্তু যখন মুভির এই দৃশ্যটির শুটিং করার কথা ছিলো, তখন RDJ (Robert Downey Jr.) অসুস্থ ছিলেন, পরবর্তীতে পুরো দৃশ্যটি CGI এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়।

আমি নিশ্চিত আপনি যদি সিনেমাটি আগে থেকে দেখে থাকেন তাহলে বিষয়টি লক্ষ্য করেননি। দৃশ্যটি খুব গভীর ভাবে লক্ষ্য না করলে এটা বুঝা সম্ভবই নাহ, যে পুরো দৃশ্যটি CGI দ্বারা  নির্মিত। অর্থাৎ CGI বর্তমানে এতটাই পরিনত যে, পর্দার জগতে এখন  চাইলেই বাস্তব জিনিস গুলো CGI দ্বারা রিপ্লেস করা সম্ভব।  মুভি, টিভি-সিরিজ ব্যতিতোও ভিডিও গেইম তৈরিতে CGI ব্যবহৃত হয়।

VFX:

VFX যার পূর্ণরূপ "Visual Effects"। সরাসরি ক্যামেরা বন্দী করা দৃশ্য গুলোর সাথে CGI এর মিশ্রণ ঘটিয়ে নতুন দৃশ্য তৈরি করার প্রক্রিয়াটিকে আমরা VFX নামে জানি। বিষয়টি  আরেকটু বুঝিয়ে বলা যাক।

সাধারণত ভিডিও ধারণ করার সময়। সাবজেক্ট ছাড়া বাকি সব কিছু সবুজ অথবা নীল পর্দা দ্বারা ঢেকে রেখে ভিডিও ধারণ করা হয়। যাকে গ্রীন স্ক্রিন বা ব্লু স্ক্রিন ও বলা হয়ে থাকে। সিনেমার টেকনিক্যাল বিষয় সম্মন্ধে যদি আপনি নূন্যতম খোজখবর রেখে থাকেন। তাহলে ইতিমধ্যে নাম দুটি আপনি শুনে থাকবেন। যাইহোক পরবর্তীতে কম্পিউটারের সাহায্যে সেই সকল সবুজ বা নীল পর্দা দ্বারা ঢেকে রাখা জায়গা গুলোকে কোনো কাল্পনিক জায়গা, দৃশ্য বা বস্তুতে রূপান্তর করা হয়, আর এই পুরো প্রক্রিয়াটি হলো VFX।

Marvel এবং DC'র মতো সিনেমেটিক্স ইউনিভার্স গুলোতে VFX এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। যেমন: আয়রন ম্যান, সুপারম্যানের মতো চরিত্র গুলোর উড়ার দৃশ্য VFX দ্বারা তৈরি করা হয়। অর্থাৎ VFX পুরোপুরি CGI'র উপর নির্ভরশীল হলেও CGI কোনো ভাবেই  VFX এর উপর নির্ভর করে না।

তবে VFX বলতে যে ক্যাবল গ্রিন বা ব্লু স্ক্রিন ফুটেজ কে CGI দিয়ে রিপ্লেস করে দেওয়াকে বোঝায় এমনটাও না। হতে পারে সিনে কোন গ্রিন অথবা ব্লু স্ক্রিন নেই অথচো সেখানে CGI এড করা হয়েছে অথবা গ্রিন স্কিন ব্লু স্ক্রিন কিংবা CGI কোনটাই নেই অথচো সেখানে রিয়েল কোন ফুটেজ বা এলিমেন্ট এড করা হয়েছে।অতএব গ্রিন স্ক্রিন, ব্লু স্ক্রিন, CGI ছাড়াও সিনের Inperfaction ডেকে দিতে কিংবা  সিনে রিয়েল কোন ফুটেজ বা এলিমেন্ট এড করে আরো বেশি Apealing করতে VFX এর ব্যাপক মাত্রায় ব্যাবহৃত হয়। 

SFX:

SFX এর ২'টি অর্থ রয়েছে। Sound Effects এবং Special Effects তবে আজকে আমরা Special Effects নিয়ে আলোচনা করবো। সিনেমার দৃশ্য গুলো আরো বেশি জীবন্ত করতে কখনো কখনো সত্যিকারের বোমা ফাটানো হয় বা কৃত্রিম ঝড়, বৃষ্টি, বাতাস কিংবা দূর্যোগ পরিস্থিতি তৈরী করা হয়। আর এই কাজ গুলোকে Special Effects বলা হয়।

২০০৮ সালে Christopher Nolan স্যারের " The Dark Knight" মুভিটি মুক্তি পায়।  মুভিটির এক পর্যায়ে একটি হাসপাতাল বোমা দিয়ে ধসিয়ে দেওয়ার একটি দৃশ্য দেখানো হয়। আর শুধু মাত্র এই দৃশ্যটি ধারণ করার জন্য সত্যি সত্যি ঐভবনটি বোম দিয়ে ধসিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে দৃশ্যটি অনেক বেশি জীবন্ত অনুভূত হয়।সিনেমার গল্পের স্বার্থে দৃশ্য গুলোকে বাস্তব সম্মত করে পর্দায় উপস্থাপন করতে Special Effects তৈরী করা হয়।

তাহলে এখন প্রশ্ন হলো, এই একই কাজ VFX বা CGI এর মাধ্যমে করলে তো করচ কম লাগতো। তাহলে কেনো SFX এর ব্যবহার করা হলো? এই কেনো এর জবাবটা একটা উদাহরণের মাধ্যমে দেওয়া যাক।

২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া "Jurassic Park" মুভিটিতে CGI এর পাশাপাশি SFX এর ব্যাপক ব্যবহার করা হয়েছিলো। আর অন্যদিকে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া "Jurassic Park Fallen Kingdom"  মুভিটিতে নাম মাত্র SFX এর ব্যবহার করা হয়েছিলো। পুরো মুভিটিতে অনেক বেশি হারে CGI এর ব্যবহার করা হয়। যার ফলাফল স্বরুপ পুরাতন Jurassic Park মুভির দৃশ্য গুলো "Jurassic Park Fallen Kingdom" মুভির তুলনায় অনেক বেশি জীবন্ত ও বাস্তব সম্মত লাগে, মনে হয় এগুলা যেন বাস্তব ওয়ার্ল্ডেই ঘটছে। আর এই জন্যই  মুভি এবং টিভি সিরিজ গুলোতে VFX, CGI এর পাশাপাশি প্রয়োজন অনুসারে (SFX এর ব্যবহার করা হয়।

উপসংহার:

একটি সিনেমা তৈরই করতে প্রয়োজন হয় গল্পের এবং একটা গল্পকে সিনেমায় রুপ দেয় দৃশ্য। এই দৃশ্যের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট পুরোপুরি সিনেমায় ফুটিয়ে তুলাতে CGI, VFX এবং SFX সমান ভাবে ভুমিকা রাখে। VFX এবং CGI কাল্পনিক জিনিস গুলো  তৈরি করে আর SFX সেই কাল্পনিক জিনিস গুলোকে আরো বেশি জীবন্ত করে তোলে। নির্দিষ্ট কোনো দৃশ্যের ক্ষেত্রে VFX, CGI এবং SFX একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।

إرسال تعليق

أحدث أقدم